সিরিয়ায় মার্কিন বিমান হামলায় নিহত-২৮
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
সিরিয়ায় মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর বিমান হামলায় সাত শিশুসহ অন্তত ২৮ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে দেশটির উত্তরাঞ্চলের শহর আল-গান্ধুরে এই হামলা চালানো হয়। ব্রিটেনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ কথা জানিয়েছে। আইএস নিয়ন্ত্রিত উত্তরাঞ্চলে বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
এই প্রতিবেদন প্রকাশের মাত্র একদিন আগে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের হামলায় পর্যাপ্ত পরিমাণ বেসামরিক লোকজনের নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছিল জোট। গত সপ্তাহে ওই একই এলাকায় হামলাটি চালানো হয়েছিল। এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত শুরুর ঘোষণাও দিয়েছে তারা।
এ সম্পর্কে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউমেন রাইটস সংক্ষেপে এসওএইচআইআর বলছে, বৃহস্পতিবার রাতে মানবিজ শহরে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের নিয়ন্ত্রিত আল গান্দোর এলাকায় ওই বিমান হামলাটি চালান হয়েছিল। সিরিয়ায় প্রতিদিন যে মানবাধিকার লঙ্ঘণের ঘটনা ঘটছে ওই হামলাটি ছিল তেমনই একটি ঘটনা। হামলায় সবমিলিয়ে ২৮ বেসামরিক প্রাণ হারিয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাতজনই শিশু। তবে এখনো তাদের পরিচয় মেলেনি। মানবিজ শহর থেকে ২৩ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমে গানদোরের অবস্থান।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন সিরীয় বাহিনী মানবিজ পুনরায় দখলের পর থেকে ভয়ানক প্রতিরোধ শুরু করে আইএস। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির পরিকল্পনায় আবারো বেসামরিক হত্যার ঘটনা ঘটলো। দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, আলেপ্পো শহরের পূর্বাঞ্চলীয় অংশ সরবরাহ পথ বন্ধ করে দিয়েছে তারা। এ অঞ্চলটি আসাদ বিরোধীদের শক্ত ঘাঁটি। হামলার ঘটনায় মার্কিন কর্মকর্তারা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, আইএসের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্য রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথভাবে কাজ ওপর আলোচনা হতে পারে। তবে এর আগে রাশিয়া ও সিরিয়াকে ক্যাসেল রোড পুনরায় খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হামলার সত্যতা স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক অভিযানের নেতৃত্বে থাকা ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড। এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘আজ (বৃহস্পতিবার) মানবিজ সংলগ্ন এক এলাকায় বিমান হামলা চালানো হয়েছে।’ এতে বেশ কিছু বেসামরিক নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
গত সপ্তাহে মানবিজের তোকহার এলাকায় জোটের বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল কমপক্ষে ৫৬ জন সিরীয় নাগরিক, যারে বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক। সিরিয়ায় জোটের বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।
প্রতিক্ষণ/এডি/আরএম